বৃহস্পতিবার , ৩১ জুলাই ২০২৫ , ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২
সংবাদ শিরোনাম :
শিরোনাম ‘আমি ভাগ্যবান’-লিখেছেন চাকরিচ্যুত যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় যশোরে এনডিএফের মানববন্ধন থেকে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী রাষ্ট্র গঠনের দাবি যশোরে ৩০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ যুবক আটক যশোরে বিশ্ব মানব পাচার প্রতিরোধ দিবস পালন যশোরে বাসচাপায় স্কুলছাত্রী ফারিয়ার মৃত্যু,বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন যশোরের আয়শা পল্লী মাদক পল্লীতে পরিণত! যশোরে সরকারি প্রাথমিক স্কুলের জমি দখল করে ভবন নির্মাণ! জুলাই বিপ্লবের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যশোরে মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় এনসিপি ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ,আহত অর্ধশত যশোর সদর হাসপাতালে ঔষুধ চুরির ঘটনায় মনগড়া প্রতিবেদন জমা,ঘরে-বাইরে ক্ষোভ
Ad for sale 100 x 870 Position (1)
Position (1)
নড়াইলে বৈষম্যবিরোধীর দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, তিন নেতাকে শোকজ
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১২ জুন , ২০২৫, ১০:৪৯:০০ পিএম
নড়াইল প্রতিনিধি:
Shornolota_2025-06-12_684b054d6ea92.JPG

নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জেলা কমিটির আহবায়কসহ ৩ নেতাকে শোকজ করেছে সংগঠনটির জেলা ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) নড়াইল জেলা শাখার মুখপাত্র নুসরাত জাহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. শাফায়াত উল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক কাজী ইয়াজুর রহমান বাবুর নির্দেশক্রমে এ নোটিশ জারি করা হয়।

শোকজকৃত নেতারা হলেন- জেলার ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহমান মেহেদী, যুগ্ম সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম রানা এবং সদর উপজেলা আহ্বায়ক মো. রাশেদুল ইসলাম মামুন।

শোকজ লেটারে বলা হয়, গত ৯ জুন অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে নড়াইল জেলা ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহমান মেহেদী এবং যুগ্ম সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম রানাকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে জবাব না দিলে কেন্দ্রীয় কমিটি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে পারে।

এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত সদর উপজেলা আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম মামুনকে কেন সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবেনা তা জানতে চেয়ে আগামী ৭ দিনের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব প্রদান ব্যতিত তার সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন সংগঠনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. আব্দুর রহমান মেহেদী নড়াইল জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহানের উদ্দেশ্যে একটি সমালোচনামূলক পোস্ট দেন। পোস্টে জুলাইয়ের শহিদ, আহত ও সাধারণ মানুষের প্রতি জেলা প্রশাসককে আরও যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পোস্টটি সংগঠনের আরেক যুগ্ম সদস্য সচিব আমিরুল ইসলাম রানা ডিলিট করে দেন এবং মেহেদীকে তিরস্কার করেন।


এ নিয়ে সংগঠনের মেসেঞ্জার গ্রুপে দু’জনের মধ্যে তীব্র বাকবিতন্ডা হয়। ৮ জুন সংগঠনের সিনিয়র নেতারা উভয় নেতাকে ডেকে বিষয়টি মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও তারা কেউ সাড়া দেননি। উপরন্তু তারা উভয়ই মেসেঞ্জারে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় করতে থাকে এবং দুই গ্রুপে মারামারি করার জন্য স্থান ও সময় নির্ধারণ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ জুন বিকেলে শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে দুই পক্ষের অনুসারীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন। এ সময় আমিরুল ইসলাম রানা ও সদর উপজেলা আহ্বায়ক রাশেদুল ইসলাম মামুনের অনুসারীদের সাথে আব্দুর রহমান মেহেদীর অনুসারীর হাতাহাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জেলা আহবায়ক মেহেদীসহ তার গ্রুপের ৩ জন এবং উপজেলা আহ্বায়ক মামুনসহ তার গ্রুপের ৩ জন আহত হয়।

জেলা সংগঠক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, অদক্ষ, অথর্ব ও অযোগ্য ব্যক্তিরা সংগঠনের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ কুক্ষিগত করে রেখেছে। সংঘর্ষ ও আহতের ঘটনা অনাকাংখিত। হানাহানিতে কেউ লাভবান না হলেও, সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এ বিষয়ে সংগঠনটির সদস্য সচিব মো. শাফায়াত উল্লাহ বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই বিপ্লবের প্লাটফর্ম। এখানে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের ঘটনা ভীষণ হতাশাজনক। শোকজের জবাবের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর

Ad for sale 225 x 270 Position (2)
Position (2)
Ad for sale 225 x 270 Position (3)
Position (3)
🔝