শিরোনাম |
❒ ফলোআপ
যশোরের সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে শহরের বহুল আলোচিত-সমালোচিত দেশ ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করে অপারেশন থিয়েটারে সিলগালা করা হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং অপরিস্কার থাকা কারণে (অপারেশন) ওটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন সিভিল সার্জন। এ সময় ক্লিনিক্যাল অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে অপচিকিৎসায় প্রসূতি অনন্যা রহমান বৃষ্টি র(২০) মৃত্যু ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করবে ক্লিনিকটির কার্যক্রম আদৌও চলবে কি-না। আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নিদের্শ প্রদান করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এবং ছাত্র সমন্বয়ক, রোগীর আত্মীয়-স্বজন এবং সাংবাদিকবৃন্দের উপস্থিতিতে তাৎক্ষণিক দেশ ক্লিনিক পরিদর্শনে যান সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনেওয়া জানান, পরিদর্শন কালে সিভিল সার্জন ক্লিনিকের সকল কাগজ-পত্র, চিকিৎসক ও ডিপ্লোমা নার্স ক্লিনিকে উপস্থিত পান। কিন্তু অপারেশন থিয়েটারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং অপরিস্কার থাকা কারনে (অপারেশন) ওটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন সিভিল সার্জন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কোন অপারেশন কার্যক্রম পরচিালনা করাতে পারবেন না।
উল্লেখ্য, রোববার দুপুর ২ টার দিকে যশোর শহরের দেশ কিনøনিকে অনন্যা রহমান বৃষ্টি নামে এক প্রসূতির সন্তান প্রসব করে। কিছু সময় পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সংকটাপন্ন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টিকে স্বজনরা খুলনা গাজী মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার শরীরের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানান, অস্ত্রোপচারকালে তার প্রসাবের নাড়ীতে রক্ত জমে যায়। জমাট বাধা রক্তের কারণে তার প্রসাব বন্ধ হয়ে দুই কিডনি বিকল হয়ে যায়। এরপর ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু সেখানে আইসিইউ ইউনিটে জায়গা না হওয়ায় তাকে ধানমন্ডির ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে নিয়ে ভর্তি করা হয়। গত রোববার দুপুর ২টার দিকে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তান রেখে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ওই গৃহবধূ। এ বিষয়ে স্থানী পত্রিকায় সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বার সংবাদ প্রকাশিত হলে সিভিল সার্জন মঙ্গলবার ক্লিনিক পরিদর্শনে যান। এবং তদন্ত কমিটি গঠন করেন। এসময় সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসানের সাথে ছিলেন ডাক্তার রেহেনেওয়াজ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কেএম সফিউর রহমান এবং ইসরাইল হোসেন প্রমুখ।
যশোরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে মৃতের স্বজনরা অভিযোগ দিলে মঙ্গলবার ক্লিনিকে পরির্দশনে যায়। এ সময় ক্লিনিকের কোন প্রকার ত্রিুটি না পেলেও অপারেশন থিয়েটারের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং অপরিস্কার থাকা কারনে (অপারেশন) ওটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর দোষী সাবস্ত হলে অভিযুক্ত ডাক্তার ও ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Tag এই রকম আরও টপিক